অনেক সময় দেখা যায়, একজন মনে করেন সম্পর্ক ভালোভাবে চলছে। কিন্তু আরেকজনের ব্যবহার বুঝিয়ে দেয় প্রেম-প্রেম ব্যাপার থাকলেও সেটা আদতে প্রেমের সম্পর্ক নয়।
সম্পর্কে থাকা আর প্রেমে পড়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রেমে পড়ার সময়গুলো যতোটা সহজ, একটা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মোটেই ততোটা নয়। প্রেমে পড়লেই যে সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পাবে, তার কোনো কারণ নেই। আবার প্রেম চলতে চলতে হঠা়ৎ ছন্দপতন হলে অনেক সময়ই যোগাযোগ কমে, দেখা সাক্ষাতও আর আগের মতো হয় না। এতেও সব সময় বোঝা যায় না আদৌ সম্পর্কটা আর আছে কিনা। কয়েকটি লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন, সঙ্গী ঠিক কী চাইছে। জেনে নিন সঙ্গীর মনোভাব জানার কৌশল।
ঝুলিয়ে রাখার মানসিকতা থাকলে সঙ্গী কখনো তার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে না। কারণ আপনার সঙ্গী এই সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান, এমনকি, এটা আদৌ সম্পর্ক কিনা তা নিয়েও সে সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
এরা নিজেদের স্বাধীনচেতা ও ভবঘুরে হিসেবে দেখাতে চায়। যারা ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করে সম্পর্কে তারা কখনোই কোনো কমিটমেন্টের প্রসঙ্গে সোজাসাপটা উত্তর দিতে পারে না। নানাভাবে এই ধরনের প্রশ্ন উদাসীন হয়ে এড়িয়ে যায়।
মনোবিদদের মতে, এরা জেনেবুঝেই সবটা করে। কিন্তু এই নিয়ে প্রশ্ন তুললে এরা দুর্ব্যবহার করতে শুরু করে। সম্পর্কে থাকলে পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে নিশ্চয়ই থাকবে। লক্ষ্য করে দেখবেন এরা নিজেদের সুবিধা মতো ছাড়া আপনার সঙ্গে কখনোই দেখা করবে না। এদেরকে আপনি প্রয়োজনে সঙ্গে সঙ্গে খুব কমই পাবেন। এরা এই সম্পর্কটায় অসম্পূর্ণ ভাবে জুড়ে থাকে। কারণ আপনাকে হয় একটা বিকল্প হিসাবে ভেবে রেখেছে, অথবা সন্দিহান।
সম্পর্কে ঝুলিয়ে রাখার অন্যতম লক্ষণ হল, এরা কখনো আপনার মেসেজ বা ফোনের উত্তর একবারে দেবে না। আপনাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখবেন। এরা নিজের মর্জি অনুযায়ী আপনার সঙ্গে কথা বলবে। নিজের মেজাজ ভালো হলে আপনার সঙ্গে এত গদগদ হয়ে কথা বলবে, যে আপনি ভাববেন এই তো আমার স্বপ্নের মানুষ। কিন্তু আবার দেখবেন ২-৩ দিন তার কোনো পাত্তাই নেই। সুতরাং বুঝবেন ব্যাপারটা মোটেই সিরিয়াস সম্পর্ক নয়।